মর্মান্তিক হামলা! হাওড়ার উত্তর মনশ্রী গ্রামে নতুন স্থাপিত আশ্রমে অগ্নিসংযোগ, ঠাকুরের মূর্তি ভেঙে খালে ফেলা – হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবনায় আঘাত
স্থানঃ উত্তর মনশ্রী, হাওড়া | তারিখঃ ২৭ মে, ২০২৫ | সময়ঃ রাত ৯:০০টা
হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর থানার অন্তর্গত শান্তিপূর্ণ উত্তর মনশ্রী গ্রাম গতকাল এক চাঞ্চল্যকর ও হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী হলো। মাত্র তিন মাস আগে এলাকার মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবং আইনগত অনুমতির ভিত্তিতে স্থাপিত একটি হিন্দু ধর্মীয় আশ্রমে গতকাল রাত ৯টার সময় আচমকা আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিকাণ্ডের ফলে সম্পূর্ণ আশ্রমটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, আশ্রমে প্রতিষ্ঠিত নীলতারা ও বাবা কালভৈরবের মূর্তিগুলি ভেঙে পাশের খালে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়।
🔥 কাদের কাজ? কে বা কারা এই ঘৃণ্য কাজের পেছনে?
যদিও এখনো পর্যন্ত পুলিশ নিশ্চিত করে কারো নাম প্রকাশ করেনি, স্থানীয় সূত্রে উঠে এসেছে তিনজনের নাম – দুলে মাঝি, তার ভাই বাবলু মাঝি, এবং জমির মূল মালিক অরুণ হাজরা। তাদের বিরুদ্ধে আশ্রমের প্রতি দীর্ঘদিনের বিরূপ মনোভাব ছিল বলে স্থানীয়রা দাবি করছেন। এমনকি, আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা নীলকণ্ঠ মহাকালনাথ তোঘড়ি নিজেও এই তিনজনের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
🔱 ধর্মীয় কেন্দ্র ও সাধু-সন্ন্যাসীদের আশ্রয়স্থল
এই আশ্রমে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন তন্ত্রসাধক, সন্ন্যাসী ও তীর্থযাত্রীদের আগমন ঘটত। তারাপীঠ মন্দির থেকে আগত পূজানাথ তোঘড়ি, লাদেন্দ্রনাথ জি, ও শ্রদ্ধেয় পঞ্চমনাথ জির মতো সাধু-সন্তরা এখানে তপস্যা ও জনসেবায় লিপ্ত ছিলেন। এই আশ্রম ছিল উত্তর মনশ্রী এলাকার বহু মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের কেন্দ্র।
💍 লুটপাটও হয়েছে!
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আশ্রমে থাকা ঠাকুরের গহনা, পূজার সামগ্রী ও মূল্যবান ধর্মীয় সম্পদও লুট করে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা। অর্থাৎ, এটি কেবল একটি আগুন লাগানোর ঘটনা নয়, বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ধর্মীয় ভাবনায় আঘাত, অপমান এবং লুটপাট – একাধিক দিক থেকে এই ঘটনা গভীরভাবে উদ্বেগজনক।
0 মন্তব্যসমূহ